কলাম

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ এ ৯:০৩:১৬ AM

লেখক: আফিফা জাহান পুষ্প

কলাম

সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে কারো অকালে প্রাণ ঝরে যাওয়া যেন রোজকার ব্যাপার। কিন্তু সড়কে ঝরে যাওয়া সেই নিষ্পাপ প্রাণ কিন্তু পুরো জাতির দুঃখ কারণ সে সড়কে যার প্রাণ জরেছে তিনিই কোনো না কোনোভাবে দেশের মূল্যবান সম্পদ ছিল যে ক্ষতিপূরণ হওয়ার নয়। সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছরে  প্রায়ই নিহত হয়েছেন ৮,৫৪৩ জন, দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৩৫৯ টি।এতে আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ ব্যক্তি যারা আজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী হয়েছেন।দুর্ঘটনায় অনেক সময় নানা কারণে হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যান্ত্রিকগত ত্রুটি বা প্রাকৃতিক কারণে যেমন অতিবৃষ্টি, কুয়াশাজনিত কারণে সামনে বা পিছনের যানবাহন দেখতে না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনার কারণেও নির্দোষ পথচারীকেও জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হয়। সড়ক দুর্ঘটনা যেন এক অদ্ভুত অভিশাপ ব্যাধির মতো সমাজকে আঁকড়ে ধরেছে।অবকাঠামোগত সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত ফিটনেসবিহীন গাড়ি,অদক্ষ ড্রাইভার, অপর্যাপ্ত সিগনালের ব্যবস্থা, জেব্রা ক্রসিংয়ের অভাব,  স্পিডব্রেকার থাকলে পূর্বে সচেতন না করার কারণে বাইক দুর্ঘটনা বেশি হয়ে থাকে। ট্র্যাফিক আইন না মানার প্রবণতাও নতুন নয়, আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিংয়ের মতো মরণ ফাঁদে পা দেন অনেক অসচেতন চালকরা। এরকম নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়। হাইওয়ে রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশ না থাকা এবং উপযুক্ত তদারকির অভাবে অধিক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়। বর্তমানে সরকার কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণে ঢাকা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট তেমন একটা নজরে আসে না আগের মতো। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যপরয়াণ হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ সড়ক দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান। নাম: আফিফা জাহান পুষ্প ডিপার্টমেন্ট টেলিভিশন ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি

কলাম